ডেস্ক নিউজ: 

সাতক্ষীরায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের প্রভাবে আগাম পেকে যাওয়া হিমসাগর আম সংগ্রহে আমচাষীদের দাবির মুখে জরুরি সভা ডেকে আম সংগ্রহের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার থেকে গাছ থেকে হিমসাগর আম সংগ্রহ করা যাবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

‘মোদি হতাশ হয়ে যেকোনো সময় নতুন আগ্রাসনে যেতে পারেন’‘মোদি হতাশ হয়ে যেকোনো সময় নতুন আগ্রাসনে যেতে পারেন’

প্রথমে নির্ধারিত ছিল হিমসাগর আম ২০ মে এবং ল্যাংড়া আম ২৫ মে থেকে সংগ্রহের সময়সীমা। তবে তীব্র গরমে সাতক্ষীরার হিমসাগর আম আগেভাগেই পাকতে শুরু করে। ফলে গাছে পাকা আম ঝরে পড়তে থাকলে অনেক চাষি নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পেড়ে বাজারজাত করতে বাধ্য হন।

চাষিদের অভিযোগ, প্রশাসনের ঘোষিত সময়ের আগেই আম পরিপক্ব হয়ে গাছে ঝরে পড়ছে। তাই তারা ক্ষতির আশঙ্কায় আম তুলতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া, বাজারে চাহিদার তুলনায় দামও কম পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তারা।

গতকাল বুধবার রাতে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হিমসাগর আমে বাজার ভরে গেছে। প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২২০০ টাকায়। চাষিদের দাবি, সময়মতো বাজারে আম তুলতে পারলে প্রতিমণ ৩২০০-৩৫০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতো।

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে প্রশাসন হিমসাগর আম পাড়ার সময় এগিয়ে এনে ১৫ মে নির্ধারণ করে। তবে অনেক ব্যবসায়ী মনে করছেন, কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কৃত্রিম চাপের কারণেই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, ‘হিমসাগর পেকে গেছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, বাস্তবে তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ, সব গাছে একসঙ্গে আম পাকে না। তবু সবার চাপের মুখে ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য নিরাপদ আম ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হলেও, কেউ যদি কাঁচা আম কৃত্রিম উপায়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’