| ০৮ জুন ২০২৫

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত গাজা ইস্যু

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 18-05-2025 ইং
  • 23882 বার পঠিত
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত গাজা ইস্যু
ছবির ক্যাপশন: ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত গাজা ইস্যু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাণিজ্যের আড়ালে ঢাকা পড়েছে গাজা যুদ্ধবিরতি। তার এই সফরে গাজা উপত্যকার শান্তি চুক্তি প্রাধান্য পাওয়ার কথা থাকলে এ বিষয়ে নেই কোন সাড়াশব্দ। উল্টো মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে গাজাকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে গাজায় আরো আগ্রাসী হয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের উদ্দেশে গেল সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন ধনী দেশ সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছেন ২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিয়ে।

তবে ঐতিহাসিক এ সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে কোন ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর নিয়ে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতেও কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের বিষয়টিই গুরুত্ব পায়, আড়ালে পড়ে যায় গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার খবর।

আসলে গাজা ইস্যুতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, কাতারের আমীর তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে ট্রাম্প কী আলোচনা করেছেন সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। আদৌ এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না তাও অস্পষ্ট।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিনে গাজা নিয়ে ট্রাম্প আবারও তার আগের ঢংয়ে কথা বলছেন। গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি স্বাধীন অঞ্চল গড়ে তুলতে চান ট্রাম্প। যেখানে মার্কিন রিয়েল অ্যাস্টেট কোম্পানিগুলো গড়ে তুলবে অট্টালিকা সারি। আর ট্রাম্পের এ স্বপ্ন পূরণে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা ছেড়ে এবার লিবিয়ায় চলে যেতে বলছেন ট্রাম্প। এছাড়া গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের খাবার দেয়ার দায়িত্বও নিতে চান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা নিয়ে বেশ ভালো পরিকল্পনা রয়েছে। এই অঞ্চলকে স্বাধীন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেখানে। কয়েক বছর পর পরই উত্তাল হয়ে যায় গাজা। এই সংকট সমাধান হচ্ছে না।’

মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্পের ইসরাইলকে বাইপাস করার বিষয়টি নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। হঠাৎ কেন বন্ধু নেতানিয়াহুকে পাত্তা দিচ্ছেন না ট্রাম্প। তাকে ছাড়াই হামাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে মার্কিন বন্দিকে হামাসের জিম্মি থেকে মুক্ত করলেন তিনি। এছাড়া ইয়েমেনের হুতিদের ওপর হামলা বন্ধের বিষয়টিও নেতানিয়াহুকে অবগত করেনি হোয়াইট হাউস। সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়েও নেতানিয়াহুকে কিছুই জানায়নি ট্রাম্প।

তাই ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ও ইসরাইলের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রশ্ন দেখা দেখা দিয়েছে নেতানিয়াহুকে মূলা ঝুলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী একাই গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান? না-কি এর পেছনেও রয়েছে ট্রাম্পের ভিন্ন উদ্দেশ্য।

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিন থেকে গাজায় আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইসরাইল। বাড়িয়েছে হামলার তীব্রতা।

স্থল অভিযানের জন্য উপত্যকাটিতে অধিক সংখ্যক ট্যাংক ও সমরাস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছে আইডিএফ। হত্যা করছে শত শত ফিলিস্তিনি। অভিযান আরও কঠোর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব।

গাজা নিয়ে অনেকটা কাড়াকাড়ি শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আর তা দেখেও চুপ আরব বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা। উল্টো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ