ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পণ্যের ওপর এবার ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও, আইফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানান ট্রাম্প নিজেই। আগামী পহেলা জুন থেকে নতুন এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে হুঁশিয়ারি তার। ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর থেকে মার্কিন শেয়ার বাজারে কমতে শুরু করেছে স্টকের দর। এছাড়া নিম্নমুখী ডলারের দরও।

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসার পর অনেকটা ক্ষ্যাপাটে স্বভাবে হয়ে উঠেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার একের পর এক সিদ্ধান্ত ভাবিয়ে তুলছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে। যার মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের ঘোষণা অন্যতম।

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওপর ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানান তিনি। যা কার্যকর হবে পহেলা জুন থেকে।

এর আগে ইউরোপের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে পরে তা অর্ধেকে নামিয়ে ১০ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস। যা জুলাইয়ের ৮ তারিখ পর্যন্ত বলবত থাকার কথা ছিল। এ সময়ের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার সুযোগ দেন ট্রাম্প। তবে আলোচনার সময় শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপের ওপর এ ঘোষণা হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউরোপীয় কমিশন সংকট সমাধান করবে বলে প্রত্যাশা।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেন, ‘ইউরোপীয় কমিশন এর জবাব দেবে। মার্কিন বাজারে আমাদের পণ্য যাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে উচ্চ শুল্ক কোন ধরণের উপকারতো করবেই না উল্টো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অর্থনীতিকে ক্ষতি করবে। তাই সমঝোতার মাধ্যমে এর সমাধান চাচ্ছি।’

ইউরোপের দেশগুলোর ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের পাশাপাশি অ্যাপলের আইফোনের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্যের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আইফোনের ওপর শুল্ক দিতে হবে না মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানকে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন খোদ মার্কিনরাই।

এক অধিবাসী জানান, ট্রাম্পের মাথায় যখন যা আসে, তখন তাই করে বসেন তিনি। তার উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্তে সবাই ভোগান্তিতে পড়ছি।

আরেকজন জানান, ট্যারিফ কখনও কার্যকর হবে না। ভোক্তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স হিসেবে এটা আদায় করা হবে।

ইউরোপের দেশগুলোর ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারির পরই নিম্নমুখী যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেয়ার বাজার। কমতে শুরু করেছে স্টকের দর। এছাড়াও, নিম্নমুখী ডলারের দরও।