| ০৮ জুন ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সফল: প্রেস সচিব

রিপোর্টারের নামঃ ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট টাইম : 01-06-2025 ইং
  • 7681 বার পঠিত
প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সফল: প্রেস সচিব
ছবির ক্যাপশন: প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সফল: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফর ‘খুবই সফল’ উল্লেখ করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের জাপানের যে সম্পর্ক, সেটি এই সফরের পর নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। উভয় দেশের মধ্যে বাইলেটারেল রিলেশনশিপ আরও গভীর ও শক্তিশালী হলো। রোববার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জাপানের সঙ্গে ছয়টি এমওইউ সই হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, এর মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য উন্নয়ন নীতি ঋণ হিসেবে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদীকে ডুয়েল-গেজ ডাবল রেলপথে উন্নয়নে ৬৪১ মিলিয়ন ডলার এবং বৃত্তির জন্য অনুদান হিসেবে আরও ৪.২ মিলিয়ন ডলার দেবে।

জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুবই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যে ধরনের আশ্বাসগুলো চাচ্ছিলাম, তার প্রত্যেকটাই…।’ তারা বলেছে, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে থাকবে’ এবং ‘মহেশখালী ও মাতারবাড়ি ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ নিয়ে মাস্টার প্লানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। জাপান থেকে একটা সাপোর্ট আমরা পাবো।

এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন, ‘বাংলাদেশকে একটা মেনুফেকচারিং হাব হিসেবে গড়া ওনার স্বপ্ন, সে জন্য আমাদের প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ লাগবে।’ জাপানিরা পুরো বিশ্বে এখন বিনিয়োগ করছে, তারা ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ নতুন নীতি নিয়েছে। আগে তাদের বিনিয়োগ চীনমুখী ছিল, এখন তারা বাইরে গিয়েও অনেক বিনিয়োগ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপানি প্রধান বিনিয়োগ এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বড় কিছু কোম্পানির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। বিনিয়োগকারীদের এক ইভেন্টে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ‘আমরা ভালো ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর সে দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এসেছেন। এখন জাপান সফরের পর দেশটির অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী আসবে এবং তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।’

জাপানের জনশক্তির বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন দুয়ার খুলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কিছু এগ্রিমেন্ট হয়েছে। আমরা আশা করছি এবং জাপানি কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, আগামী ৫ বছরে এদেশে থেকে ১ লাখ লোক নেবে। সেই লক্ষ্যে এরইমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। একটা সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে ১ লাখের বেশি লোকও পাঠানো যাবে।’ দেশটিতে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪০ হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছে। এই সরকারের সময় রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার শিক্ষার্থী গেছে জাপানে। ‘আরও অধিক সংখ্যক সামনে যাবে বলে আমরা আশা করছি। আগামীতে জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি ডেসটিনেশন হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘ভাষার ক্ষেত্রে জাপান ছাড় দিচ্ছে। আমরা আশা করছি, সামনে আরও আলোচনা হবে। যত দ্রুত এবং যত বেশি জনশক্তি পাঠানো যায়, সেই চেষ্টা করছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভাগী-জেলা পর্যায়ে সরকার উদ্যোগ নেবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি এ ক্ষেত্রে নেপাল ও ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশ কীভাবে কাজ করছে। ওরা এই কাজটা ইতোমধ্যে করেছে, তারা কীভাবে এত অধিক সংখ্যক লোক পাঠালো সেই অভিজ্ঞতা আমরা নেবো। আমরা জানবে চাইবো, তারা কীভাবে ধাপে ধাপে এগিয়েছে। খুব দ্রুত স্কেলআপ করতে হবে, এ সংক্রান্ত যত বাধা আছে তা কত দ্রুত সমাধান করতে টাস্কফোর্স কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে জাপানে থাকা বাংলাদেশিরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। সামনে এটি আরো বেগবান হবে।’

গুম সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘গুম কমিশনের সদস্যরা দিন-রাত কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দুইটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আরও একটি রিপোর্ট সামনে আসবে। অনেক বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনারা গুম কমিশনে যান, তাদের কাজগুলো একটু দেখেন। যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তারা তাদের ন্যায় বিচার চাবেন। অনেকে এখনো নিখোঁজ আছেন। তারা কোথায় গেলো, তাদের ভাগ্যে কী ঘটল সেটি পুরো জাতি জানতে চায়। এ ব্যাপারে কমিশন কাজটা করুক, তারা ফাইন্ডিংস জানাক। তারপর আমরা পরবর্তী কাজ করবো।’

ডিসেম্বরের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় বলে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘বড় দলগুলোর মধ্যে একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়, সেটি বুঝিয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ