| ০৯ জুন ২০২৫

ভারতের পর্যটন ব্যবসায় ধস

  • আপডেট টাইম : 29-04-2025 ইং
  • 50040 বার পঠিত
ভারতের পর্যটন ব্যবসায় ধস
ছবির ক্যাপশন: ভারতের পর্যটন ব্যবসায় ধস

ডেস্ক নিউজ: 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত সপ্তাহে পর্যটকদের ওপর হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সাধারণ জনগণের জন্য অর্ধেকের বেশি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক সরকারি আদেশে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সরকারি নথিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ৮৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে কতদিনের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হিমালয়ের কোল ঘেঁষে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ, মনোরম উপত্যকা এবং রাজকীয় মুঘলযুগীয় বাগান নিয়ে সাজানো কাশ্মীর গত কয়েক বছরে সহিংসতা কমে যাওয়ায় ভারতের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন করে গড়ে উঠছিল।

কিন্তু পেহেলগামের হামলা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যস্ত গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকেরা আগেভাগে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখাতে গুলিবিনিময় বেড়েছে। এই নিয়ন্ত্রণরেখা ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে পৃথক করেছে।

মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাধিক চৌকি থেকে হালকা অস্ত্রের গুলির জবাব দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি এবং কোনও হতাহতের খবর দেয়নি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ সোমবার রয়টার্সকে জানান, ভারতের একটি সামরিক অভিযান আসন্ন। সেই অনুযায়ী তারা তাদের বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে।

ভারত তিন হামলাকারীর মধ্যে দুইজনকে পাকিস্তান থেকে আগত ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে সহিংস বিদ্রোহে লিপ্ত ছিল। তবে পাকিস্তান এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত ইসলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করে। তবে পাকিস্তান বলেছে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবির প্রতি নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।

এই হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে এবং ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ভারতের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ