ডেস্ক নিউজ: 

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেছেন, গাজা গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে একটি ইসরায়েলি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, হুথি যোদ্ধারা অধিকৃত হাইফা এলাকার পূর্বে ইসরায়েলি শত্রুর রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটিতে 'ফিলিস্তিন-২' হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটিকে বাধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, গাজায় মার্কিন-সমর্থিত ইসরায়েলি যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে।

সারি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধ শেষ না হওয়া এবং গাজার ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি শনাক্ত করেছে। কিন্তু তারা এটিকে আটকাতে পেরেছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। 

ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।

শুক্রবার ভোরে হাইফা শহরসহ অধিকৃত অঞ্চলের উত্তর অংশের বিশাল অংশে সাইরেন বাজানো হয়েছিল। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর পর আশ্রয়কেন্দ্রে দৌড়ে যাওয়ার সময় একজন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। আরও বলা হয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো গাদিশ বসতির কাছে পড়েছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের বরাত দিয়ে ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ আরও জানিয়েছে, হামলার কারণে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

সূত্র: প্রেস টিভি