| ০৮ জুন ২০২৫

ঐকমত্য কমিশনের ১১২ প্রস্তাবে একমত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

  • আপডেট টাইম : 04-05-2025 ইং
  • 47061 বার পঠিত
ঐকমত্য কমিশনের ১১২ প্রস্তাবে একমত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট
ছবির ক্যাপশন: ঐকমত্য কমিশনের ১১২ প্রস্তাবে একমত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

ডেস্ক নিউজ:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ সংস্কার প্রস্তাবের ১১২টিতে একমত পোষণ করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সংস্কার প্রস্তাবের ১১২টিতে নিজেদের সম্মতির কথা জানায় এ জোট। পরে জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১১২টি প্রস্তাবে একমত হয়েছি, ২৬টি প্রস্তাবে একমত হইনি এবং ২৮টি প্রস্তাবে আংশিক একমত হয়েছি। দু-একটি বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করে নেবো। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের স্থানীয় নির্বাচন হবে। 

তিনি বলেন, তারা (ঐকমত্য কমিশন) আমাদের বলেছে একসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন হওয়া যায় কিনা। আমরা জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনই বলেছে একসঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। অন্য একটি বিষয়ে একমত হয়েছি, তা হলো- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাস থেকে চার মাস করলে ভালো হয়। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল। আমরা সেখানে বলেছি সংসদ সদস্য দ্বারা এটি হতে হবে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যুক্ত করা যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, সংসদে আসন সংখ্যা তিনশ’ থাকতে হয়। মহিলাদের আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ হবে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বিচার বিভাগের বিষয়ে আমরা বলেছি জ্যেষ্ঠতা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত হবেন। হাইকোর্ট থেকে অ্যাফিলিয়েট ডিভিশনে এ সমস্ত বিচার হবে। যে সমস্ত বিচারপতি দুর্নীতিপরায়ণ, তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বাদ দিতে হবে। পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। এরপর একবার গ্যাপ দিয়ে আবারো প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন থাকলে দেশে নানা সমস্যা তৈরি হয়। কারণ- নির্বাচিত সরকার যেভাবে সুষ্ঠুভাবে দেশ চালাতে পারে অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে সেভাবে দেশ চালানো সম্ভব নয়। এই যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা অনেক অসুবিধায় আছি। কে বা কারা মানবিক করিডোরের প্রস্তাব দিয়েছে আর আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তাতে সম্মতি দিয়েছেন- এটা তো নির্বাচিত একটা সরকার থেকে করতে হবে। আমরা যারা রাজনৈতিক দল আছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এটা করলো। এ মানবিক করিডোর যে সামরিক করিডোর হবে না কে বলতে পারে। এটা যে আরেকটি গাজা হবে না, সেটা কে বলতে পারে?  এজন্য আমরা বলছি, এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ কী? তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়া। ড. ইউনূস অত্যন্ত ভালো  লোক। আমরা অনেক পছন্দ করি। আমরা সাপোর্ট করি। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে কতোদিন সাপোর্ট দেয়া যাবে সেটা বিবেচনার বিষয়।     

এদিকে ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) সহযোগিতা পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ