| ০৮ জুন ২০২৫

ওসমানী উদ্যানে 'জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ' নির্মাণ করবে সরকার

  • আপডেট টাইম : 06-05-2025 ইং
  • 45367 বার পঠিত
ওসমানী উদ্যানে 'জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ' নির্মাণ করবে সরকার
ছবির ক্যাপশন: যতদিন বেঁচে থাকব গান গেয়ে যেতে চাই: খুরশীদ আলম খুরশীদ আলম। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার খুরশীদ আলম এদেশের গুণী সংগীতশিল্পী। সুদীর্ঘ গানের ক্যারিয়ার তার। একজীবনে অসংখ্য গান করেছেন। তার গাওয়া বহু গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে এখনো। প্লেব্যাকে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে। পেয়েছেন একুশে পদকও। এখনো তিনি নিয়মিত গান গাইছেন। তার গাওয়া কয়েকটি তুমুল জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে—চুমকি চলেছে একা পথে, যদি বউ সাজো গো, ধীরে ধীরে চল ঘোড়া, আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোনোদিন নয়, মাগো মা ওগো মা, চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে, চুরি করেছ আমার মনটা... ইত্যাদি। দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হয়েছেন খ্যাতিমান শিল্পী খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, গানে গানে বহু বছর পার করলাম। এখনো গান করতে পারছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ। স্টেজ শো ও টেলিভিশনে গান করছি। আগামী ৩০ মে মাছরাঙা টেলিভিশনে একটি লাইভ শো আছে। সেখানে গান করব। অনেক জনপ্রিয় গান আপনি করেছেন। স্টেজে গান করার সময় দর্শকরা সেসব গান কি শুনতে চায়, জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, চুমকি চলেছে একা পথে—শ্রোতারা এখনো এই গানটা শুনতে চায়। ধীরে ধীরে চল ঘোড়া শুনতে চায়। যদি বউ সাজো গো শুনতে চায়। আমার গাওয়া যেসব গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে এখনো, সেসব গানই শুনতে চায় বেশি। বহু বছর আগে গাওয়া গানগুলো মানুষ শুনতে চায়, কেমন লাগে আপনার? তিনি বলেন, ভালো লাগে। একজীবনে তো গানই করেছি। মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার মতো কিছু গান আমি করেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কাজেই আমার সংগীতজীবনের নানা সময় গাওয়া গানগুলো যখন মানুষ শুনতে চায়, অনুরোধে করে তখন অন্যরকম ভালো লাগে। খুরশীদ আলম রেকর্ড সংখ্যক গান করেছেন সিনেমায়। বেতার ও স্টেজেও গান করেছেন। তার কাছে জানতে চাই স্টেজে কি অন্য শিল্পীদের গান করেন? জবাবে তিনি বলেন, করি। বশীর আহমেদের একটি গান আমার ভীষণ পছন্দের। ওটা করি। লাইনটা মনে পড়ছে না। সুবীর নন্দীর একটি গান খুব জনপ্রিয়, দিন যায় কথা থাকে, ওটাও করি। এই গানটির প্রতি অনেক দুর্বলতা কাজ করে। জানি না কতটুকু গাইতে পারি। সূর্য কন্যা সিনেমার একটি গান আছে—চেনা চেনা লাগে তবুও অচেনা। এই গানটি খুব পছন্দের। ভালো লাগে গাইতে। গানটির গীতিকার ফজল শাহাবুদ্দিন। নতুন শিল্পীরা কেমন গান করছে, তাদের নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? খুরশীদ আলম বলেন, কেউ কেউ অনেক ভালো করছে। তাদের মেধা আছে। আমরা তো অনেক গুণী সুরকার, গুণী গীতিকার ও গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য পেয়েছি। অনেক মেধা আছে তাদের। কিন্তু প্রপার অভিভাবক প্রয়োজন। জীবনের এই সময়ে এসে কী ধরনের স্বপ্ন দেখেন? খুরশীদ আলম বলেন, ৮০ বছর বয়সী একজন মানুষের জীবনে এখন আর কী স্বপ্ন থাকতে পারে? সুস্থ থাকতে চাই। সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ চাই। যতদিন জীবিত আছি, নিজের গান গেয়ে যেতে চাই।

ডেস্ক নিউজ: 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর ১৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা ওসমানী উদ্যান পরিদর্শনে এসে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বিষয়ে সরকারের আগ্রহের কথা জানান। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে ডিএসসিসি এবং এর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে বহন করা হবে।

স্মৃতিস্তম্ভের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী, মূল স্থাপনা হবে ৯০ ফুট উঁচু একটি ব্রোঞ্জের স্তম্ভ। এটি একটি গোলাকার প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত হবে এবং এতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নাম খোদাই করা থাকবে। স্তম্ভের গোড়া ঘিরে থাকবে অর্ধ-বৃত্তাকার ভাস্কর্য, যা ব্রিটিশ আমল, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে ফুটিয়ে তুলবে।

উদ্যানে প্রবেশের মুখে নির্মিত হবে '২৪' সংখ্যার আদলে একটি ফটক, যা জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করিয়ে দেবে। এছাড়া, এখানে হাঁটার পথ, শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত এপিটাফ এবং দৃষ্টিনন্দন বাগান থাকবে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, 'ঢাকার বিভিন্ন পার্কে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও ওসমানী উদ্যানে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। এজন্য আমরা এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছি।'

তার ভাষ্য, সচিবালয়, নগর ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাছে হওয়ায় এই স্মৃতিস্তম্ভেইর জন্য ওসমানী উদ্যানই উপযুক্ত জায়গা।

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, স্মৃতিস্তম্ভের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র আগামী ১৮ মে খোলা হবে।

একজন কর্মকর্তা জানান, দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে এবং এরপর দ্রুতই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও এর আগেও কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ Gen Z Bangladesh Online - জেন জি বাংলাদেশ অনলাইন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ